এক যে রানি |
মোসায়েব১: হুররে রানিমা, হুররে! বইমেলাকে আরও চার দিন বাড়িয়ে দিলেন! তেরপল-ওলা আর সিড়িঙ্গে কবিরা ধন্য ধন্য লাগিয়ে দিয়েছে। মোসা২: কী আবিষ্কার! কলম্বাসের বাবা! বইমেলাকে চার দিন, দুগ্গাপুজোকে ১৮ দিন, ভাইফোঁটাকে ১৪৩ দিন বাড়িয়ে দিলেই রাজ্যে আর নিরানন্দ বলে কিস্যু থাকে না! বোকা: ঠিক ‘চার’ দিন বাড়ালেন কেন? পাঁচ কেন নয়? সভাকবি: আরে গাধা, চারে বেদ! চারে চার্চিল! চারে চার্লি চ্যাপলিন! আর, কালচার-এর ন্যাজেই তো চার! মহারানি: বাহবা! এই একে এ বছর একটা বিভূষণ-টিভুষণ কিছু দিয়ো তো! দূত: ম্যাম, ম্যাম, তাজা খবর এল: পার্ক স্ট্রিটে ধর্ষণ, বারাসতে গণধর্ষণ, সামতাবেড়েয় ধর্ষণ, মধ্যমগ্রামে গণধর্ষণ, নিশ্চিন্দিপুরে ধর্ষণ— রানি: বলিস কী? এক দিনে এতগুলো সাজানো ঘটনা! সংস্কৃনারী: দিদিমুনি, এরা কিস্যু বোঝে না, মধ্যমগ্রাম আর পার্ক স্ট্রিটের প্রেক্ষিত আলাদা, বারাসত আর সামতাবেড়ের প্রেক্ষিত আলাদা, প্রেক্ষিত আর মধ্যমের গ্রাম আলাদা... জঙ্গিনারী: উঁহু, প্রেক্ষিত একটাই যত্ত মেয়েগুলো কাস্টমারের সঙ্গে গোলমাল বাধাবে, আর বাজারি মিডিয়াগুলো আমাদের গোড়ালির পাশে ঘেউঘেউ শুরু করবে! আর তার পোঁ ধরবে কিছু টেকো কবি। ওই যে এক জন, কী যেন নাম, শাঁখ না ঘণ্টা... বীর: হ্যাঁ, উনি কী করেন বলুন তো, লেখেন? মোসা১: আরে ধুর! লিখত তো ওই সাদা জুলপিওলা লোকটা, দিদি যার শবযাত্রা হাইজ্যাক করলেন! ওটা স্টার ছিল। যদিও রাজনীতিটা পুরো ভুলভাল। বীর: সিধে কথা লেখো, আঁকো, গান চিল্লাও বা নাট্য-ডায়ালগ ফোঁকো, যত ক্ষণ না রানিমার সভায় ডুগডুগি নাড়ছ, তুমি আর্টিস্টই না। মোসা৩: এই যেমন দাদাসাহেব ফালকে পাওয়া লোকও হয়ে গেল ‘সত্যজিতের বদভ্যেস’। মেজো বীর: এগজ্যাক্টলি। বদভ্যেস হবি তো দিদির হ, সত্যজিৎ রায় সিনেমার কী জানে? দেব সত্যজিৎকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে? রানি: আহা, ছাড়ুন ছাড়ুন। মজা করুন। ফের ছুটি। অ্যাই, নীলষষ্ঠীতে সরকারি ছুটির ফাইলটা কোথায় গেল? ক্লার্ক: এই যে মহারানি। সঙ্গে গোপাল ভাঁড়ের জন্মদিনে ছুটি, উমনো-ঝুমনো ফেস্টিভ্যাল, ডিরোজিয়ো-র জন্মদিনে অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান ভাইবোনদের ফ্রি পেস্ট্রি বিতরণ, সেই পেস্ট্রি খেয়ে ডায়াবিটিস বাড়লে পঁচিশ হাজার টাকা কম্পেনসেশন, মফস্সলের চার ফুটের কম কবিদের রণপা পুরস্কার। সেজো: সুলতানা, শয়তানেরা চুটকি ছেড়েছে: ‘বাংলায় দুটো অঞ্চল: সৎ আর বারাসত।’ তা, বারাসতকে এক্সট্রা কিছু পাইয়ে দিলে হত না? রানি: চুটকির ভয়ে! জানেন, বিবেকানন্দ আর আমি প্রেসের কাছ থেকে কত ব্যারাকিং সয়েছি? আজ কোন বজ্জাত কী গাল পাড়ল তার বেসিসে উন্নয়ন করব? শিক্ষাম্যান: বরং বুক ফুলিয়ে বলব তুমি তোমার দিল্লিত্ব দেখালে, আমিও আমার বারাসতত্ব দেখাব! রানি: বাহবা! এই একে এক্ষুনি একটা বিভূষণ-টিভুষণ... মোসা৩: দিদি, আমি কিছু পাব না? একটা কাগজ বার করব ভাবছি, আগাগোড়া আপনার কালার-পিকচার আর নির্লজ্জ তোয়াজ! রানি: বাঃ, সরকারি হেল্প পাওয়া লাইব্রেরিগুলোয় তোর কাগজ ইনক্লুড! তবে মনে রাখিস, আমি ‘আমিত্ব’ একদম পছন্দ করি না। আমি কতটুকু করছি, কী করতে পারছি না, চেপে যা। ফোকাস: ওই ৩৪ বছর কী সাংঘাতিক হরর! ওরা যেমন কথায় কথায় কংগ্রেস জমানার জুজু, জরুরি অবস্থার জুজু দেখাত, তুই ‘চাক্কুবাজ চৌতিরিশ’ ফ্ল্যাশব্যাক-টা জিইয়ে রাখ। আমরা কিছু ঘাপলা করলেই, পাঠকের মাইন্ড ও-দিকে ঘুরিয়ে দিবি। কবি: কাগজের ওপর স্লোগান ‘আমাদের কারখানাতে শেড নাই, হাসপাতালে বেড নাই, কিন্তু ভরসার কথা হল, রাইটার্সে রেড নাই!’ দূত: ম্যাম, ম্যাম, ফেল-করা স্টুডেন্টরা টিচারদের ঘেরাও করছে, গুন্ডারা এবিজি-র কর্তাদের ট্রেনে তুলে পগার পার করে দিচ্ছে, পুলিশরা মেশিন তুলতে গিয়ে গ্রামবাসীদের ওপর ঠসাঠস গুলি চালাচ্ছে । |
ছবি: সুমন চৌধুরী |
রানি: কিস্যু ঘটছে না। ওই প্রত্যেকটা জায়গায় পিট্টু-টুর্নামেন্ট চলছে, চোরামি নিয়ে স্লাইট ক্যাচাল। তাপ্পর নচ্ছার মিডিয়ার কুচ্ছিত প্রচার। সবাই ইম্পর্ট্যান্ট ব্যাপারে মন দিন। বইমেলায় প্যান্ডালগুলো কী রঙের হবে? কবি: নীল-সাদাটা বোর হয়ে গেছে। দুষ্টু লোকরা ‘মারাদোনার ভাই হারাধনা’ বলে প্যাঁক দিচ্ছে। এ বার অন্য একটা কম্বিনেশন... মেজো: বরং আমরা মেলায় সব লেনের এমাথা-ওমাথায় আপনার আঁকা একটা করে ছবি ঝোলাই। সাতাত্তর ফুট হাইট। জান্তে হোক অজান্তে হোক বিরোধী পার্টির একটা শয়তান তো আপনাকে পিকাসোর সঙ্গে তুলনা করেছে! বীর: এই পিকাসো কী করে বলুন তো? আঁকে? মোসা২: ধোর, সায়েবরা গ্যাস দিয়ে আকাশে তুলে দিয়েছে! দিদির কাছে লাগে? পিকাসোর আঁকা থেকে দুগ্গাঠাকুর তৈরি হয়েছে? ওর ছবি বেচে কোনও পলিটিকাল পার্টি চলেছে? সেজো: আপনি নির্ভয়ে এঁকে যান রানিমা, আমি পিকাসোর ওপর নজর রাখছি। ওর কেরিয়ার শেষ করতে পাঁচ মিনিট লাগবে। রানি: ছাড়ুন ছাড়ুন, ওরম বলতে নেই, ভদ্রলোক মারা গেছেন, আহা, ওঁর নামে একটা মেট্রো স্টেশন করে দিন। মোসা১: হায় রাজ্ঞী, সে দিন কি আর আছে? কে একটা উদ্ভট পাবলিক গদিতে বসেছে, তার আইডিয়া বারুইপুরের কাছে মেট্রো স্টেশনের নাম হওয়া উচিত বারুইপুর! ছোঃ! গাড়লরা বুঝবে কী করে? দিনে ২৬ বার ক্ষুদিরাম নজরুল উত্তমকুমার আওড়ালে মাইন্ডটা কেমন পিয়োর হয়ে যায়, রিপিটেডলি টিকিট চাইতে চাইতে ব্যাপারটা জপমন্ত্রের মতো জাতটাকে এলিভেট করে... সংস্কৃ: হাতে মেট্রো নেই বলে মনীষীরা তো বঞ্চিত হতে পারেন না, একধারসে এ বার জগদীশচন্দ্র ইউরিনাল, মাতঙ্গিনী শৌচালয়... মোসা৩: শৌচালয়ের কথায় মনে পড়ল, ক্লাবের পাবলিকগুলোকে সম্রাজ্ঞী কাল ডেকে তুমুল পোলাও আর ডিম খাওয়ালেন না? ব্যাটাদের তো গুরুপাকে অভ্যেস নেই, বাথরুমগুলো যা করে রেখেছে সেজো: আরে না, ওগুলো হজম হয়েছে, লাখ-দু’লাখের চেকগুলো পেটে সয়নি! হ্যাহ্যাহ্যা রানি: ছিঃ! কক্ষনও এমন বলবেন না! ক্লাবে যদি চল্লিশ ইঞ্চি এলসিডি-তে ধোনি না দেখা যায়, ঝকঝকে মার্বেলের বেঞ্চিতে পা ঝুলিয়ে লক্কা ছোকরারা দিনমান অন্ত্যাক্ষরী না খ্যালে, পুজোয় আইটেম নাম্বার দিয়ে ঝিংচ্যাক জলসা না জমে, যুবসমাজ জাগ্রত হবে কী করে? শুধু ক্যারমবোর্ডে মধ্যিখানের ঘুঁটিটা লাল থাকে, ওটাকে সবুজ করতে বলে দিন। কেউ লাল রাখলে পঁচাত্তর হাজার কেটে নিন। ক্লার্ক: লুডোর বেলাতেও লাল ঘুঁটি ক্যানসেলের ফরমান দেব মহারানি? বোকা: আচ্ছা, আমাদের দলের যারা কাট-মানি খেয়ে, সিন্ডিকেট গড়ে, জলের লাইন জোগাতে ঘুষ নিয়ে লালে লাল হয়ে গেল, ওদেরও কি জঙ্গি: আঃ, যত ক্ষণ ব্যাপারটা পাঁচশো-র নোটে সেটিং হচ্ছে, কিচ্ছু বলার নেই, সবুজ রঙের টাকা না? বীর: এই এ ভাবে বলবেন না, তা হলে আমার লাল কার্ড পকেটে রাখতে এট্টু লজ্জা করবে! দূত: ম্যাম, প্ল্যাকার্ড নিয়ে কয়েকটা অগা হুজ্জুত করছে, বলছে নাটকের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে! মেজো: তা নাটকে আমাদের সমালোচনা হলে তার কণ্ঠ রোধ করা হবে না তো কি কণ্ঠে রসগোল্লা ছোড়া হবে? শিক্ষা: তুমি তোমার প্রতিবাদিত্ব দেখালে আমিও আমার মস্তানত্ব দেখাব! বোকা: কিন্তু কেউ নেগেটিভ দিকগুলোকে রানি: আরে আমি কি ব্যাটারি নাকি, যে পজিটিভ-নেগেটিভ দুটোই থাকবে! আমার শুধু পজিটিভ! শুধু ভাল, সাবাস, বাহবা, ওয়াও! সেজো: কথাটা ভাল করে মাথায় ঢুকিয়ে নে। রানিমার সমস্ত হ্যাঁ-য়ে হ্যাঁ মেলালে তুই সাচ্চা, নইলেই চোখে-আঙুল-দাদা’র বাচ্চা। হয় হবি স্তাবুক, নয় খাবি চাবুক। উনি যা বলবেন, ইনস্ট্যান্ট জয়ধ্বনি দিবি। একটা বিরুদ্ধ-ট্যাঁ, ব্যস, লট কে লট সাধারণ মানুষ পাঠিয়ে দেব, স্বতঃস্ফূর্ত ধোলাই দিয়ে আসবে। জঙ্গি: এর পেছনে শয়তান গিটারিয়া-টা নেই তো? নাট্য-লাভারদের মাওয়িস্ট পিনিক জুগিয়ে হয়তো বদ-গান বেঁধে ইউটিউবে চড়িয়ে দিল মোসা২: বিভীষণটাকে ঢোকালেন কেন দলে? রানি: আরে, আমি জানি রাজ্যে ছোট শিল্প দরকার, ও গানের মতো শিল্প নিয়ে অ্যাদ্দিন ঘষটাচ্ছে, হয়তো হেভি বিনিয়োগ আনবে! বোকা: এই ইকনমিস্ট-ফমিস্টগুলো অ্যাক্কেরে গবা, না মহারানি? সোলো গান মানে ছোট শিল্প, কোরাস গান মানে বড় শিল্প, সবাই উঠে দাঁড়িয়ে ‘একলা চলো রে’ গাইলেই বড় শিল্প হবে, না? কবি: বদলাব সব সংজ্ঞা, এটা নতুন পশ্চিমবঙ্গা। মিস্তিরিরা বানাক গে ধ্যাবড়া গাড়ির বনেট, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি হল মাখো-মাখো সনেট! দূত: ম্যাম, ম্যাম, খবর এল আমাদের একটা গ্রুপ আমাদেরই আর একটা গ্রুপকে বেধড়ক মেরেছে। এক নেতাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে, উনি আমাদের দলের বহু দিনের চাঁই! রানি: তা ভাল তো। বোঝা গেল, অন্তত মারধরের ব্যাপারে এই দলে কোনও ‘আমরা-ওরা’ নেই। এ বার দেখি বাজারি দালালগুলো সাড়ে সাতটায় কী টক-শো বসায়! দূত: মার খাওয়া নেতা দেখা করতে এসেছেন। রানি: দু’ঘণ্টা বাইরে বসিয়ে রেখে বিদেয় করে দে। অ্যাদ্দিন ধরে পলিটিক্স করছে, মার খেতে শেখেনি? শিক্ষা: এ সব বুড়োধাড়ি লিডারকে এ বার ছাড়ুন রাজেন্দ্রাণী। ইয়াং ছেলেপুলে আছে, তাজা। আপনার মতো এনার্জেটিক, রবীন্দ্রনাথের মতো আনএডুকেটেড। আর জগ ছুড়ে মারলে কী টিপ! এরা পঞ্চায়েত ভোটে যা কাজ করবে না! সেজো: শত্রু-পার্টির সত্তর বছরের গুরুজনকেও ক্যালান দিতে পারবে তো? শিক্ষা: কী বলছেন! রবীন্দ্রনাথের মতো বাইসেপ! কিলিয়ে দাঁত ভেঙে দেবে, শিরদাঁড়া ছিটকে দেবে। পরের দিন বাড়িতে ঢুকে বসে থাকার বদলে ফের গুলি চালাবে। তার পর দিন অবশ্য নার্সিং হোমে শেল্টার নেবে। রানি: বাহবা, সেই লোকটার জন্য একটা বিভূষণ-টিভুষণ রেডি রাখিস ভাই। হ্যাঁ, এই বার বলুন সবাই, বইমেলার উদ্বোধনটা কী করে ঘ্যামচ্যাক করা যায়? জঙ্গি: নেতাজি ইনডোরে নিয়ে গেলে কেমন হয়? লেসার আলো-ফালো দিয়ে... বোকা: কিন্তু বড় সাহিত্যিকরা তো একটু মুখচোরা হন, ও ভাবে আড়ম্বর করলে... রানি: সাহিত্যিক! সাহিত্যিক দিয়ে কী হবে? সাহিত্যিক দেখতে গাঁ-গঞ্জ থেকে লোকে ঝেঁটিয়ে লাইন দেবে? আপনি কি মেন ব্যাপারটাই বোঝেননি? কালচারটাকে নিয়ে বোদা পাবলিকের কোলে লপচপাতে হবে। ফিলিম ফেস্টিভ্যালে যেমন বচ্চন শাহরুখ মিঠুন আলো করে বসেছিল, তেমনি ঝক্কাস স্টার আনতে হবে। ভাবছি, রাখি সাওন্ত উদ্বোধন করলে কেমন হয়? কবি: ব্রাভো! শুনেই সাহিত্যবোধ ডবকা হয়ে উঠছে রানিমা! সংস্কৃ: কিন্তু দিদুমুনি, রাখি তো কোনও বই লেখেননি, মানে কোনও প্রেক্ষিতেই... রানি: লেখেননি তো কী, পড়েছেন তো? বইমেলা কি শুধু লেখকের? পাঠকের নয়? শিক্ষা: পায়ের ধুলো দিন ইয়োর ম্যাজেস্টি! এই কোটেশনটা অমর হয়ে থাকবে, এই, কে আছিস, অবিলম্বে রবীন্দ্রসদনে খোদাই কর! বই লেখকের নয়, পাঠকের। কোন শালা এ বার রোলাঁ বার্ত-এর নাম বলে দেখি! মোসা৩: দিদি, ছোট্ট আবদার, রাখির সঙ্গে যে উম্পুলুম্পুু সখীগুলো থাকবে, আমি কিন্তু তাদের পাশে ঘুরে ঘুরে টাকা ছুড়ব! রানি: টাকাগুলো আবার কুড়িয়ে নিতে ভুলিস না! আমাদের দেউলিয়া স্টেট। আসল কথা, গ্ল্যামার দিয়ে ইভেন্টটাকে অ্যায়সান মশলা-মাখা কর, ঝাঁজেই আঁতেল-জমানার নিরামিষ বইমেলা গো-হারা হেরে যাবে। মেজো: ওরা তো এমনিতেই হেরে আলুভাতে। চৌতিরিশ বছরে যে অশিক্ষিত ঔদ্ধত্য শিখেছিল, আমরা উনিশ মাসে তার সব রেকর্ড ভেঙে তচ্ছুনচ্ছু! এক একটা ডাউন দিচ্ছি, রিপোর্টারদের শর্টহ্যান্ড বেঁকে যাচ্ছে! রানি: ছিঃ! কক্ষনও অসৌজন্য করবেন না! মনে রাখুন, বিরোধী পার্টির লোকের মুখ দেখবেন না, ওদের বাড়িতে মেয়েদের বিয়ে দেবেন না, চায়ের স্টলে ওদের সঙ্গে দেখা হলে কথা বলবেন না, বিষধর সাপের মতো এড়িয়ে চলবেন, ভাগাড়ের শকুনগুলোকে সুযোগ পেলেই মেরে পাট করে দেবেন। কিন্তু খবরদার, অসৌজন্য যেন না হয়। দূত: ম্যাম ম্যাম, প্রচুর রাহাজানি পেল্লায় রোগী-অবহেলা অসম্ভব ওষুধ-ভেজাল প্রকাণ্ড মার্ডার রানি: আঃ, এ তো জ্বালিয়ে খেলে! বলি মোমবাতি মিছিল হয়েছে না হয়নি? বীর: এগজ্যাক্টলি, সেইটে খোঁজ নে। সমস্তটা মোমবাতি ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত। সেল বাড়াবার ধান্দা। দেখছে লোডশেডিং উঠে গেছে, অন্য প্ল্যান খুঁজছে। সেজো: খেয়াল রাখিস তো, ওই মোমবাতি হাতে আমাদের কোনও বিপথগামী যদি একটি পা হেঁটেছে, স্ট্রেট বয়কট! পর দিন থেকে কেউ তার সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করবি না। মোসা১: আমি বলি কী, সরকার থেকে একটা স্পেশাল ‘ত্রিফলা মোমবাতি’ ডিজাইন করি, ওরা প্রোটেস্ট করুক, আমরা লাভের গুড় খাই। রানি: ভাল বলেছিস, এটা ‘বেঙ্গল লিড্স’-এ ছেড়ে দে। মোদী মোদী করে সব হেদিয়ে গেল! সংস্কৃ: কী নীচ নেতা! প্ল্যাটফর্মটাকে ইনডাইরেক্টলি প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রচারের জন্য ইউজ করল। আমি কেমন আমাদের দলের প্ল্যাটফর্মটা ডাইরেক্টলি আমার যাত্রাপালার প্রোমো দেওয়ার জন্য ইউজ করলুম! কথা বলবি তো সোজাসুজি বল! সাহস দেখি! মোসা৩: যাত্রার কথায় আইডিয়া এল! সল্টলেকে দেব যেমন স্বামীজি সাজলেন, বইমেলার ক্লোজিং সেরিমনিতে যদি প্রসেনজিৎ বাল্মীকি সাজেন আর কোয়েল মল্লিক সাজেন অরুন্ধতী রায়? ব্যাকগ্রাউন্ডে রোম্যান্টিক ফুলুট? বীর: এই বাল্মীকি আবার কী করে? লেখে? রানি: বাহবা মোসা! তোর বিভূষণ কে খায়? এটাকে আরও এক্সপ্যান্ড কর! সারা বচ্ছর যদি স্টারেরা পিলপিলিয়ে সি.আর.দাশ, বিরসা মুন্ডা, রামমোহন, বেগম রোকেয়া সেজে রাজ্যময় ঘুরে বেড়ায়, ভাল চিন্তা ভাল কাজ ভাল ভিড় উথলে উঠবে! মুদির দোকানে জিৎ ছুঁতে পেলে কে টিউকল নিয়ে মাথা ঘামায়! কিন্তু দেখিস, কেউ আবার জ্যোতি বোস সেজে না ফ্যালে! মোসা২: লেনিন সাজলেও মুন্ডু উড়িয়ে দেব! বোকা: সে কী! আমরাও তো তা হলে ‘আমরা-ওরা’... মেজো: আরে এটা কোথাকার মাকড়া রে! ওরা ‘আমরা-ওরা’ করলে গাঁট, আমরা করলে, স্মার্ট। ওরা কেন্দ্রের দোষ দিলে অজুহাত-স্টোরি, আমরা দিলে, শহিদেশ্বরী। ওরা রাজ্যপালকে দাবড়ালে বেলেল্লা, আমরা দাবড়ালে সোনার কেল্লা। রানি: কেয়া ছন্দ দিয়া! কবি, চাকরি যাবে যে! একটা জম্পেশ এন্ড-পাঁচালি ছাড়ুন! কবি: যাহা সত্য জুলাইয়ে তাহা সত্য জুনে সমাজ সুখের হয় শোষণের গুণে। মোরা যদি শুষি, হয়: পরি-বর্-তোন! PS: This originally came as an article in "Anandabazar Patrika" written by Chandril (here http://www.anandabazar.com/20rabipro1.html) Since they keep changing their url and after a few days I won't be able ti link to this wonderful piece hence I kept a backup here just by copying it :) ) |
Returning to my cubical holding a hot cup of coffee and with a head loaded with frustration and panic over a system codebase that I managed to break with no sufficient time to fix it before the next morning. This was at IBM, New York where I was interning and working on the TJ Watson project. I returned back to my desk, turned on my dual monitors, started reading some blogs and engaging on Mozilla IRC (a new found and pretty short lived hobby). Just a few days before that, FirefoxOS was launched in India in the form of an Intex phone with a $35 price tag. It was making waves all around, because of its hefty price and poor performance . The OS struggle was showing up in the super low cost hardware. I was personally furious about some of the shortcomings, primarily the keyboard which at that time didn’t support prediction in any language other than English and also did not learn new words. Coincidentally, I came upon Dietrich Ayala in the FirefoxOS IRC channel, who...
Comments
Post a Comment